রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসায় এরশাদ শিকদারের মেয়ে জান্নাতুল নওরিন এশা (২২) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এশার মা সানজিদা নাহার এই মামলাটি দায়ের করেছেন। আত্মহত্যার প্ররোচণার এ মামলায় আসামি করা হয়েছে এশার প্রেমিক প্লাবন ঘোষকে।
২০০৪ সালে হত্যা মামলায় এশা বাবা খুলনার সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। সানজিদা নাহার এশার মা ও এরশাদ শিকদারের দ্বিতীয় স্ত্রী।
গুলশান ওসি আবুল হাসান শনিবার মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। ওসি বলেন, গতকাল (৪ মার্চ) দিবাগত রাতে মামলাটি দায়ের করেছেন এশার মা সানজিদা নাহার। মামলায় বাদী সানজিদা অভিযোগ করেছেন, তার মেয়ে এশা প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়া করে আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগে এশার প্রেমিক প্লাবন ঘোষকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় গুলশানের সুবাস্তু টাওয়ারের নবমতলার বাসা থেকে এশার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এশার মা সানজিদা নাহারের অভিযোগ, প্লাবন ঘোষ নামের এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তার মেয়ে এশার। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে প্লাবনের সঙ্গে দেখা করতে বাসা থেকে বের হয় সে। পরে তাকে বাসার নিচে নামিয়ে দিয়ে যায় প্লাবন। এ সময় দুজনের মধ্যে ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়। বাসায় ফিরে এসে এশা নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়।
এশার মা আরও বলেন, শুক্রবার ভোরে মেয়ের কক্ষের দরজায় ধাক্কা দিয়ে সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে নিরাপত্তাকর্মীর সহযোগিতায় দরজা ভেঙে দেখা যায় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে এশা। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সানজিদা নাহারের অভিযোগ, প্লাবনকে ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যা করেছে এশা। মেয়ের কক্ষের দরজা বন্ধ থাকলেও তিনি বিষয়টি কিভাবে নিশ্চিত হলেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, এশা এইচএসসি পাশ করার পর আর কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়নি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।